জাহাঙ্গীর আলম তপু: ময়মনসিংহের সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে নি’র্যাতনকারী তৎকালীন জে’লা গো’য়েন্দা সংস্থা ডি’বি পুলিশের এসআই আক্রাম হোসেনের শা’স্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মা’নববন্ধন ও প্র’তিবাদ সভা হয়েছে । আজ ৮ জানুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটি ও বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়নের উদ্যোগে কয়েকদিন ব্যাপী প্র’তিবাদ সভা ও মা’নববন্ধনের প্রাথমিক কর্মসূচী পালন করা হয় । এতে সাংবাদিকরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন ।






প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক আমাদের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রফিককে গ্রে’প্তার করে এসআই আক্রাম হোসেন । গ্রে’প্তার করার পর থেকেই খায়রুল আলম রফিকের চোখ বেঁ’ধে অ’মানুষিক নি’র্যাতন চা’লানো হয় । নি’র্যাতনের ছবি তুলে প্রতিপক্ষের হাতেও তুলে দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা । এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় । এরপর রফিককে আ’সামি করে তার বি’রুদ্ধে দা’য়ের করা হয় মা’মলা । এসআই আক্রাম হোসেন অ’মানুষিক নি’র্যাতন করে সাংবাদিক রফিককে অন্ধ ও প’ঙ্গু করে দিয়েছে ।






রফিকের দুচোখ ও পেছন থেকে দুই হাত বেঁ’ধে ডি’বি কার্যালয়ের ফ্লোরে ফে’লে আলমারীর সাথে হেন্ডকাপ পড়িয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাত পা ও কোমড়ে বে’ধড়ক পি’টুনি, পায়ের তালুতে , গরম পানি ঢুকিয়ে দেওয়া, কলম দিয়ে আঙুলের নখে চা’প দেওয়া ও নখ উপড়ে ফেলা, ফ্লোরে চিৎ করে শুইয়ে হাত-পা চে’পে ধরে নাকে-মুখে লা’থি এবং মুখের ভেতরে গামছা ঢুকিয়ে নি’র্যাতন করে আক্রাম হোসেন। এতে সাংবাদিকের রফিকের যৌ’নশক্তি হা’রিয়েছে যাওয়ার মত । শরীরের বিভিন্নস্থানে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। চোখ ন’ষ্ট হয়ে গেছে প্রায় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও চোখ,কান খুবই ঝুঁ’কিপূর্ণ। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবেন কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।






প্র’তিবাদ সভা ও মা’নববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান এমএ মোমিন আনসারি । বক্তব্য রাখেন, মহাস’চিব বিএম আশিক হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান মো: আবুল কালাম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবি আ্যাডভোকেট ওয়াহেদুনবী বিপ্লব, দপ্তর সম্পাদক তারেক সালমান, মহিলা বি’ষয়ক সম্পাদক সম্পাদক হোসনে আরা , নির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম চৌধুরি, দৈনিক অন্যদিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার হাবিব মোল্লা, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার রিপোর্টার আনিসুর রহমান বসকোর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম তপু, বসকোর সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হাওলাদার, সমাজ সেবক মোহাম্ম’দ আবদুর রউফ, মোঃ নুরুজ্জামান রনি,বাংলাদেশ মানবতা ফাউন্ডেশনের সদস্য মাহমুদুল হাসান মিশু, মোহাম্ম’দ সবুর শেখ প্রমুখ ।






নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক নি’র্যাতনকারী এসআই আক্রামকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা ও আইনের আওতায় এনে শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । অন্যথায় কঠিক কর্মসূচি পালন করবে সাংবাদিক সমাজ । বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান এমএ মোমিন আনসারি বলেন, এসআই আক্রাম হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতা ও সংশ্লিষ্টতায় ময়মনসিংহে ঘটে মা’দকের জমজমাট ব্যবসা । তিনি ময়মনসিংহে কর্মরত থাকাকালে যৌ’নপল্লীতে ঘটে নারী পা’চারের ঘটনা । স’ন্ত্রাস আর অ’স্ত্রের ঝনঝনানিসহ অ’পরাধ কার্যক্রম । এই অ’পরাধ কার্যক্রমের পেছনে ছিল এসআই আক্রাম হোসেন ।






এসব অ’পরাধ কার্যক্রমে ছিল তার প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ সম্পৃক্ততা । এসবের সাথে যুক্ত করেন গ্রে’প্তার বাণিজ্য । হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা । সেই সময়ে র্যা’বের অ’ভিযানে উ’দ্ধার হয় অ’স্ত্র ও বিপুল মা’দক ও গ্রে’প্তার হয় সংশ্লিষ্ট অনেকেই । এসআই আক্রাম হোসেনের এহেন কর্মকান্ডের সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে । এতেই আক্রামের রোষানলে পড়েন সাংবাদিক রফিক। এতে সাংবাদিকতার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এসআই আক্রাম ।
বাংলাদেশ সন্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটির মহাস’চিব বিএম আশিক হাসান বলেন, সাংবাদিক বিদ্বেষী, ঘুষখোড়, নি’র্যাতনকারী ও দু’র্নীতিবাজ এসআই আক্রাম হোসেনকে আইনের আওতায় আনা না হলে দিন দিন আরো বে’পরোয়া হয়ে উঠবে ।